সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ভাইরাস বহন না করে, যে যেখানে আছে, সেখানে থেকেই ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বঙ্গবন্ধুর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যোগ দিয়ে পূর্বাঞ্চল নতুন শহর প্রকল্পে মূল অধিবাসী এবং ক্ষতিগ্রস্ত এক হাজার ৪৪০ জনের মধ্যে প্লট বরাদ্দ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তার পক্ষ থেকে প্লটপ্রাপ্ত তিনজনের হাতে বরাদ্দের কাগজ তুলে দেন গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘একটা ঈদে বাড়ি না গেলে কী হয়!’ এ সময় জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে সবাইকে সরকারী বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যসুরক্ষাবিধি মেনে চলারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্লট বরাদ্দ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শহরের মতো গ্রামেও পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। ধনীদের দৌরাত্ম মোকাবিলা করেই সরকার প্রকৃত দাবিদারদের অধিকার নিশ্চিত করবে।’
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘শহর অথবা গ্রাম, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জন্য আবাসন নিশ্চিত করা ও জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, শহরের সব আধুনিক সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করবে সরকার।
এ সময় প্লটের চাহিদা নিয়ে তিনি বলেন, যাদের এত বিশাল বিশাল অট্টালিকা, বাড়িঘর ফ্ল্যাট সবই আছে, তাদের আরো লাগবে কেন? মরলে তো সবাইকে যেতে হবে সেই কবরে, মাত্র সাড়ে তিন হাত জায়গায়। এই ধনসম্পদ কেউ সাথে নিয়ে যেতে পারবে না। এই কথাটা মানুষ কেন ভুলে যায়, আমি জানি না।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্র প্রান্তে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।